কঠিন সময় পার করে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি। জনজীবনে ফিরছে স্বস্তি। প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। কারফিউ শিথিলের সময়ে সেরে নিচ্ছেন দৈনন্দিন কাজ। অফিসগুলোতেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। সেবা পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাটে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। কারফিউ শিথিলের সময় ঢাকার রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। অফিসগামী মানুষ ছাড়াও সাধারণ মানুষ বের হচ্ছে এ সময়ে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জারি করা কারফিউ রাজধানীতে আজ রোববার (২৮ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১১ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রয়েছে। এছাড়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জেও রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।  কারফিউ শিথিলের এই সময়ে সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ।

এর আগে, শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল ছিল। পরে বিকেল থেকে আবারও শুরু হয় কারফিউ।এদিকে শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি ও বেসরকারি অফিস রোববার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে। অফিস শেষ হবে বিকাল ৩টায়। এই নিয়মে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে।

অন্যদিকে রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন সময়সূচিতে চলবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এই তিনদিন অর্থাৎ ২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই কারফিউ শিথিলের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে।

এদিকে, অফিসগামী মানুষের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় পথে অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এসময়, সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেন যানবাহন কম থাকায় রিকসা ও সিএনজি অটো রিকসার ড্রাইভাররা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।